Skip links

Haji Mohammed Abdul Jalil Grand Mosque

We embrace holistic development within our sectors.

Haji Mohammed Abdul Jalil Road, Haji Mohammed Abdul Masabbir City,
Dakshin Fenchugonj, Sylhet, Bangladesh.


হাজী আব্দুল জলিল গ্রান্ড মসজিদ
: মহান আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টির জন্য মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা হাজী আব্দুল জলিল গ্রান্ড মসজিদ। সেই সপ্তম শতাব্দির সাদাসিধে খোলা প্রাঙ্গনবিশিষ্ট মসজিদে কাবা বা মসজিদে নববী থেকে বর্তমানে এর প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। আরব উপদ্বীপে নির্মাণ হওয়া প্রথম তিনটি মসজিদের গঠন ছিলো বেশ সাদাসিধে। সময়ের আবর্তনে পরবর্তি হাজার বছরে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিত্যনতুন কৃষ্টি ও স্থাপত্যশৈলীর ধারক হয়। এখন অনেক মসজিদেরই সুবিশাল গম্বুজ, উঁচু মিনার এবং বৃহদাকার প্রাঙ্গন দেখা যায়। ১৯৬২ হাজী মোহাম্মদ আব্দুল জলিল মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং ১৯৯০ সালে তারই ছেলে বৃটেন প্রবাসী হাজী মোহাম্মদ আব্দুল মছব্বির মসজিদটির সম্প্রসারণ করেন এবং ২০১৯ সালে তাঁরই ছেলে ব্রিটেন প্রবাসী স্যার এনাম উল ইসলাম  মসজিদটি পুনর্নিমাণ করেন। বর্তমানে মসজিদটি দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হওয়ায়, মুসল্লিগণের সর্বাধিক সুযোগ সুবিধা ও আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে মসজিদটি আবারো আধুনিকতার ছোয়া দিতে হাত বাড়ান স্যার এনাম উল ইসলাম।

মসজিদের জন্মলগ্ন থেকে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোঃ আব্দুল জলিল মসজিদের সকল প্রকার খরচ এবং রোজার সময় সকল রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা নিজে বহন করতেন। সেসময় মসজিদের মোতোয়ালি ছিলেন তিনি নিজেই। এরপর তার মৃত্যুর পর পারিবারিক পরমপরায় মসজিদের মোতোয়ালি হোন তার ছেলে হাজী মোঃ আব্দুল মছব্বির এবং তার মৃত্যুর পর সেই পরমপরায় ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে মোতোয়ালি-এর দায়িত্ব পালন করছেন স্যার এনাম উল ইসলাম। সেই পরমপরা আজও বিদ্যমান।

পরিবারিক সিদ্বান্ত অনুযায়ী মসজিদের মোতোয়ালি একটি উপদেষ্টা কমিটি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই কমিটি মোতোয়ালিকে বিভিন্ন সময়ে মসজিদ সম্পর্কিত বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে থাকে। সেই প্রথা অনুযায়ী মসজিদের প্রথম মোতোয়ালি জনাব হাজী মোঃ আব্দুল জলিল – এর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মাওলানা হাজী মোঃ হুরমুজুল্লাহ সায়াদ সাহেব এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জনাব নুরুল হক (স্বনামধন্য শিক্ষক কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়)। উনারা পরপর ৪ বার মসজিদ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন।

হাজী মোঃ আব্দুল জলিল – এর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় মোতোয়ালি হিসেবে জনাব হাজী মোঃ আব্দুল মছব্বির তার উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেন। সেই উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজে এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন সৈয়দ গোলাম আম্বিয়া। পরবর্তীতে দ্বিতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয় প্রথম উপদেষ্টা কমিটির মেয়াদ শেষ হলে। দ্বিতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব সৈয়দ গোলাম আম্বিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন জনাব আব্দুল কালাম আজাদ।

২০১১ সালের ২৮ডিসেম্বর হাজী মোঃ আব্দুল মছব্বির সাহেবের মৃত্যু হয় এবং ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মসজিদের মোতোয়ালি-এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন স্যার এনাম উল ইসলাম। তিনি ২ বছরের জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেন, তার উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুল মসিক এবং সাধারণ স্পাদক হিসেবে ছিলেন জনাব সামসুল ইসলাম।

২০১৪ সালে এই উপদেষ্টা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। বর্তমানে মসজিদের কোনো উপদেষ্টা কমিটি নেই। মোতোয়ালি সাহেব মুসুল্লীদের আহ্বান জানিয়েছেন যদি কেউ বর্তমান মসজিদ কমিটিতে দায়িত্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করে তবে তিনি তা বিবেচনা করে দেখবেন।

বর্তমান মোতোয়ালি স্যার এনাম উল ইসলাম তার সহযোগিতার জন্য গত ১ মার্চ ২০২৩ তারিখে তার পুত্রদ্বয়-

১. ইতমাম মোঃ আজহারুল ইসলাম ও

২. ইনকিয়াদ মোঃ ইতিহাদ ইসলাম- কে সহকারি মোতোয়ালি হিসাবে নিয়োগ দেন।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তি : তাবলীগের জামায়াত মসজিদে আসতে পারবে কিন্তু বয়ান এবং থাকার বাবস্থা সলিমুল্লাহ খান হলে করতে হবে। তাঁরা আসার আগে মসজিদের মোতয়াল্লির সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মসজিদ খোলা ও বন্ধের সময়সূচীঃ

নামাজ শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে খোলা হবে এবং নামাজ শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট পর মসজিদ বন্ধ হবে।

নামাজের সময়সূচীঃ
ফজর –
জোহর –
আছর –
মাগরিব –
এশা –

জুম্মার নামাজ শুরু হয় দুপুর ১টায়

রমজান মাস: তারাবীহ্ এর সময়সূচী
এশার নামাজ ৮টায় শুরু হবে। এর পরেই তারাবীহ্ নামাজ শুরু হবে।
সূরা তারাবীহ্ – নীচ তলা
খতম তারাবীহ্– ৩য় তলা

ঈদের জামাত:
হাজী মোঃ আব্দুল মছব্বির সিটির পাশে প্রায় ৩০০০ মানুষ বসবাস করে। এছাড়া আশে পাশের বিভিন্ন ভাড়াটিয়া বাসায় ও হাজী মোঃ আব্দুল মছব্বির সিটিতে ৫০০ কোন্ডো – তে প্রায় ২০০০ মানুষের বসবাস। এই সকল মানুষের কথা চিন্তা করে হাজী মোঃ আব্দুল জলিল গ্র্যান্ড মসজিদে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা এর জামাতের ব্যবস্থা করা হয় ।

ঈদের নামাজের সময়সূচীঃ
ঈদ উল ফিতর – সকাল ৮টা
ঈদ উল আযহা – সকাল ৮টা

জানাজার ব্যবস্থা:
বৃহৎ পরিসরে জানাজার নামাজের জন্য স্যার এনাম উল ইসলাম উদ্যান তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো মানুষ জানাজার নামাজের জন্য হাজী মোঃ আব্দুল গ্র্যান্ড জলিল মসজিদের মোতওয়াল্লী –  এর অফিসে যোগাযোগ করে উক্ত উদ্যানটি ব্যবহার করতে পারবেন। জানাজায় আগত ব্যক্তিদের জন্য গাড়ি পার্কিং ও ওযুর ব্যবস্থা রয়েছে। স্থান ব্যবহার করার জন্য কোন প্রকার খরচ দিতে হবে না।

হাজী মোঃ আব্দুল জলিল গ্র্যান্ড মসজিদে যেকোনো প্রকার অনুষ্ঠানের জন্য অবশ্যই মোতওয়াল্লীর অফিসের অনুমতি লাগবে।

অনুরোধক্রমে,

মোতওয়াল্লী
স্যার এনাম উল ইসলাম
বিএসসি, এমবিএ, ডিবিএ, সিআইপি, ইউকে

সহকারী মোতওয়াল্লী
১। ইতমাম মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম,
এলএলবি, এলএলএম, এলপিসিইউকে, ইউকে

২। ইনকিয়াদ মোহাম্মদ ইত্তেহাদ ইসলাম,
বিএসসি, ইউকে

ইমামঃ মাও: তাজ উদ্দীন

মসজিদ সহকারীঃ হাফেজ ফরহাদ হোসাইন

মসজিদের যাবতীয় খরচ মোতোয়ালি নিজে বহন করেন এবং মসজিদটি পারিবারিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবুও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি মসজিদে অনুদান দিয়েছেন।

বর্তমানে হাজী মোঃ আব্দুল জলিল গ্র্যান্ড মসজিদের পুননির্মাণ কাজে যারা অনুদান দিয়েছে তাদের নাম ও অনুদানের পরিমাণের তালিকা

জনাব ইনকিয়াদ মোঃ ইতিহাদ ইসলাম     ৫৮,৫০০.০০ টাকা

জনাবা আনোয়ারা পারভিন                         ১০,০০০.০০ টাকা + ১২,০০০.০০ টাকা

জনাব এহসান উল ইসলাম                          ৫৮,৫০০.০০ টাকা

জনাবা সানু বেগম                                          ২৩,৪০০.০০ টাকা

জনাব কয়ছর রশিদ                                      ১০,০০০.০০ টাকা

জনাব মুহিবুজ্জামান (দুলাল)                      ৫০,০০০.০০ টাকা
(পিতাঃ মোঃ ইসহাক আলী, মাইজগাঁও)

জনাবা রেলি খানম                                         ৪৬,৪০০.০০ টাকা

বর্তমানে হাজী মোঃ আব্দুল জলিল গ্র্যান্ড মসজিদ পুননির্মাণের পর মসজিদ-এর দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন-

ইমামঃ মাও: তাজ উদ্দীন

মসজিদ সহকারীঃ হাফেজ ফরহাদ হোসাইন

অবস্থান: হাজী মো: আব্দুল মছব্বির সিটি, দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট, বাংলাদেশ।
ভবন: ৩ তলা বিশিষ্ট
আয়তন: ৯ হাজার বর্গফুট
মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা : ৭ হাজার

মসজিদটি সম্পূর্ণ শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত। উন্নত মানের ইন্টোরিয়র ডেকেরেশন, টাইলস, লাইটিং, বিশ্বমানের সাউন্ড সিসটেম ও বিভিন্ন কারুকাজের সমষ্টিগত। মসজিদটির তিনজন গ্রান্ড মুফতি সাহেবের দ্বারা পরিচালিত ।

* ২৪/৭ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
* শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত
* Wi-Fi সুবিধা
* গাড়ি পার্কিং সুবিধা

Explore
Drag