Tourist Spots

শাহ মালুম ছিলেন 14 শতকের একজন সুফি সাধক এবং 360 জন অনুসারীর একজন যারা তুরস্ক থেকে ভারতের সিলেট বিজয়ে শাহ জালালের সাথে ছিলেন। ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি শাহ জালালের নেতৃত্বে সিলেট অভিযানে অংশ নেন। সিলেট বিজয়ের পর, তিনি সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুরে একটি খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে তিনি সুফি আধ্যাত্মিক চর্চা ও কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি সিলেট অঞ্চলে ইসলাম প্রচার ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শাহ মালুম স্থানীয়ভাবে জুনায়েদ গুজরাতি নামে পরিচিত ছিলেন। জুনায়েদ তার নাম এবং গুজরাটি ছিল তার পরিচয়কারী, তিনি ছিলেন গুজরাট থেকে, এটি হযরত শাহজালালের 360 জন সাথীর অনেকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাদের নামের সাথে দেশ বা অঞ্চল সংযুক্ত ছিল। কথিত আছে যে যখন তার চাচা শাহজালালকে তার জমি খুঁজে বের করার জন্য যাত্রা করেন, তখন তিনি বিভিন্ন দেশ/অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করেন এবং সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেশের সুফিদের সাথে যোগাযোগ করেন। শাহজালাল তার দল তৈরি করেন এবং জুনায়েদ ছিলেন গুজরাটের একজন। জুনায়েদ মালুম নামে পরিচিত কারণ 360 জন সঙ্গীর একজন সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী ছিলেন এবং বিজয়ে সঙ্গীদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কীভাবে এবং কখন তিনি মারা গিয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়, তবে তাকে তার খানকার কাছে সমাহিত করা হয়েছে। বহু শতাব্দী ধরে, বিপুল সংখ্যক ভক্ত তাঁর সমাধি পরিদর্শন করে আসছেন, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারির ২য়, ৩য় ও ৪র্থ দিনে শাহ মালুমের উরস অনুষ্ঠিত হয়।